Product Description

তানিয়া খুব প্রিয় কাজ হলো রং করা আর রং করার জিনিষটা যদি হয় কোন ফুলের ছবি তাহলে তো কথাই নেই।

খাতা-কলম পেলেই সে নিজের ছোট্ট হাতে আঁকতে বসে যায়। আজও সে বসে গেছে মেঝেতে, তার ছোট্ট প্যালেট আর তুলি হাতে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই বিরক্ত হয়ে মা-কে ডাক দিলো।

“মা, নতুন কোনো ফুল নেই রঙ করার?”

মা মিষ্টি হেসে বললেন, “তোমার জন্য আছে একদম স্পেশাল কিছু!”

তানিয়া চোখ বড় বড় করে তাকাল। “সত্যি?”

“হ্যাঁ! এগুলো হলো ফুলের ছবি দেয়া কালারিং পেজ। এগুলোতে অনেক সুন্দর ফুল আছে, যেগুলো তুমি নিজের মতো করে রঙ করতে পারবে!”

তানিয়া এখন পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী বাচ্চা। তার আম্মু আজ তার জন্য কালারিং পেজ প্রিন্ট করে নিয়ে এসেছে। আর কালার করার ছবির সবগুলোই ফুলের। আর ছবিও একটা দুটো নয়।

৪০টা ছবি!

শিশুর কল্পনা শক্তি যত বেশি বিকশিত হয়, ততই তার সৃজনশীলতা বাড়ে। কিন্তু বাজারের সাধারণ কালারিং বইয়ে ছবির সংখ্যা কম, আর বইগুলো একবার রং করা হয়ে গেলে আবার অনেক দাম দিয়ে পুরো কালারিং বুকটা কিনতে হয়।

এমন যদি কিছু থাকতো যেগুলো কালার করার পর আবার ব্যবহার করা যেতো!

তানিয়া রং শুরু করার আগে বুঝতে পারেনি যে রং করার পর ফুলের ছবিগুলো কত সুন্দর লাগবে! কিন্তু যখন সে প্রথম পেজটি রঙ করল, তখন সে যেন জাদুর মতো রঙের জগতে হারিয়ে গেল! 

তানিয়ার আব্বু তানিয়াকে অনেক আদর করে।

মেয়ের চাহিদামত পছন্দের কালারিং পেজগুলো তিনি প্রিন্ট করে ফটোকপির দোকানে কপি করে তার স্ত্রীকে দিয়ে রেখেছেন । তানিয়া একটা পেজ রং করে আর আম্মুর থেকে আরেকটা পেজ নেয়। একই ফুল একেকবার একেক রং দিয়ে সে রং করে।

ফুল রং করার আগ্রহ আর আনন্দ তানিয়ার শেষ হয়না। প্রতিদিন এই ফুলের পেজ রং করা তার অন্যতম আকর্ষণ!

এখন –
📍 তানিয়ার মনোযোগ আগের থেকে বেড়ে গেছে
📍 স্কুলের আঁকার ক্লাসে সে দারুণ পারফরম্যান্স করছে
📍 তার মা-বাবা খুশি, কারণ সে আনন্দের সাথে শিখছে

একদিন তানিয়ার আব্বু অফিস থেকে আসলে তানিয়া আব্বুর কোলে লাফ দিয়ে উঠে বলে,
“জানো, আব্বু আজকে আমার ড্রইং মিস আমাকে ড্রয়িং ক্লাসে Very Very Good দিয়েছে!”