মনকায়ার প্রতিটি মিউজিক ব্রেনওয়েভ এনট্রেইনমেন্ট নামক এক প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে। মনকায়ার মিউজিকগুলো কিভাবে আপনার ব্রেন ও মনের কার্যক্রম-এ প্রভাব ফেলবে তা বুঝতে হলে ব্রেনওয়েভ এনট্রেইনমেন্ট প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে সেটি আপনাকে জানতে হবে।
তাহলে আসুন, ব্রেনওয়েভ এনট্রেইনমেন্ট প্রযুক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ে ধারণা নেবার সাথে সাথে এই প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে সে বিষয়ে আমরা জানার চেষ্টা করি।
আমাদের ব্রেন নিউরন নামক কোষ দ্বারা গঠিত হয়। আমেরিকার ন্যাশনাল লাইব্রেরী অব মেডিসিন ও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী একজন মানুষের ব্রেন-এ প্রায় ১০০ বিলিয়ন নিউরন কোষ থাকে। নিউরন কোষগুলো নিজেদের সাথে এবং আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে অবস্থিত মাংসপেশীর সাথে বৈদ্যুতিক সংকেতের মাধ্যমে যোগাযোগ করে।
আমাদের শরীর ও মনের প্রায় সব ধরণের কাজের সাথে ব্রেন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পর্কিত। আমাদের শরীর ও মনের কাজসমূহ নিয়ন্ত্রণ করা এবং ব্রেন-এর নিজস্ব কার্যক্রম পরিচালনার সময় ব্রেন-এর অসংখ্য নিউরন কোষ একে অপরের সাথে বৈদ্যুতিক সংকেতের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। ইইজি (EEG) মেশিনের সাহায্যে আমাদের মাথার তালুতে বিভিন্ন সেন্সর লাগিয়ে আমাদের ব্রেন এ উৎপাদিত বিভিন্ন মাত্রার বৈদ্যুতিক সংকেত পরিমাপ করা যায়।
এই বৈদ্যুতিক সংকেতগুলো পর্যায়ক্রমিক ছন্দের হয় যার অর্থ হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর এই সংকেতগুলোর একইভাবে পুনরাবৃত্তি হয়। ছবি আকারে দেখা হলে এই সংকেতগুলো ঢেউয়ের মত মনে হয়।
আমাদের সারা জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে ব্রেন এর ভিতর এই ধরণের সংকেত তৈরী হচ্ছে এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তৈরী হবে। সমষ্টিগতভাবে এই ঢেউয়ের মত দেখতে বৈদ্যুতিক সংকেতগুলোকে “ব্রেনওয়েভ” বলা হয়।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, একটি ব্রেনওয়েভের ভিতরে একই আকৃতির বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রতি সেকেন্ডে নির্দিষ্ট সংখ্যকবার পুনরাবৃত্ত হয়।
যদি কোন ব্রেনওয়েভে অবস্থিত একই ধরণের তরঙ্গ ১ সেকেন্ডে ৪ বার পুনরাবৃত্ত হয় তাহলে এই ব্রেনওয়েভের ফ্রিকোয়েন্সি ধরা হয় ৪ হার্জ। যদি কোন ব্রেনওয়েভের ভিতর অবস্থিত একই ধরণের তরঙ্গ ১ সেকেন্ডে ১০ বার পুনরাবৃত্ত হয় তাহলে এই ব্রেনওয়েভের ফ্রিকোয়েন্সি ধরা হবে ১০ হার্জ। ঠিক একইভাবে যদি ১৬ হার্জের কোন ব্রেনওয়েভের কথা বলা হয় তাহলে বুঝতে হবে এই ব্রেনওয়েভের পর্যায়বৃত্তিক অংশটি ১ সেকেন্ডে ১৬ বার পুনরাবৃত্ত হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা তাদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখেছেন যে, দিনে ও রাতের বিভিন্ন সময় এবং আমাদের বিভিন্ন ধরণের কাজের উপর নির্ভর করে সবচেয়ে সক্রিয় ব্রেনওয়েভের ফ্রিকোয়েন্সি সুস্পষ্টভাবে ভিন্ন ভিন্ন থাকে।
উদাহরণস্বরুপ বলা যায় যে, যখন আমরা সম্পূর্ণরুপে জেগে থাকি, সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কোন কাজ করি এবং বিভিন্ন কারণে উত্তেজিত অবস্থায় থাকি তখন আমাদের ব্রেন এ উৎপন্ন হওয়া ব্রেনওয়েভগুলোর ফ্রিকোয়েন্সি থাকে ১৩ হার্জ থেকে ৩৮ হার্জের ভিতর। যখন আমরা ঘুমন্ত অবস্থায় থাকি তখন সবচেয়ে সক্রিয় ব্রেনওয়েভের ফ্রিকোয়েন্সি অনেক কম (০.৫ থেকে ৪ হার্জের মধ্যে) থাকে।
এভাবে প্রতিটি ফ্রিকোয়েন্সি সীমা আমাদের ব্রেন – এর বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম এবং মানসিক অবস্থার সাথে সম্পর্কিত।
আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে একাধিক ফ্রিকোয়েন্সির ব্রেনওয়েভ সক্রিয় থাকে এবং এই ব্রেনওয়েভগুলোর ভিতর নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি সীমার ব্রেনওয়েভ অন্য ফ্রিকোয়েন্সি সীমার ব্রেনওয়েভের চাইতে বেশী সক্রিয় থাকে। এই অধিক সক্রিয় ব্রেনওয়েভগুলোকে নিয়ন্ত্রণকারী ব্রেনওয়েভ বলা হয়।
একই ফ্রিকোয়েন্সির ব্রেনওয়েভ কোন সময় নিয়ন্ত্রণকারী ব্রেনওয়েভ হয় আবার কখনো তা নিয়ন্ত্রণকারী হয়না।
উদাহরণস্বরুপ, যে কোন ২ টি ব্রেনওয়েভের কথা চিন্তা করুন। মনে করুন, একটির ফ্রিকোয়েন্সি ১ হার্জ এবং আরেকটির ১৬ হার্জ। এক্ষেত্রে, আমরা যখন সম্পূর্ণ রুপে জেগে থাকি তখন নিয়ন্ত্রনকারী ব্রেনওয়েভ হিসেবে ১৬ হার্জের ব্রেনওয়েভটি হয়তোবা নিয়ন্ত্রণকারী ব্রেনওয়েভ হচ্ছে (এক্ষেত্রে ১ হার্জের ব্রেনওয়েভটি নিয়ন্ত্রণকারী হচ্ছে না)। আবার আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখন নিয়ন্ত্রনকারী ব্রেনওয়েভ হিসেবে ১ হার্জের ব্রেনওয়েভটি হয়তোবা নিয়ন্ত্রণকারী ব্রেনওয়েভ হচ্ছে (এক্ষেত্রে ১৬ হার্জের ব্রেনওয়েভটি আমাদের মস্তিষ্কে থাকলেও নিয়ন্ত্রণকারী হচ্ছে না)।
এভাবে আমাদের মানসিক অবস্থা এবং ব্রেন এর কার্যক্রম অনুযায়ী একই ব্রেনওয়েভ কখনো নিয়ন্ত্রণকারী হচ্ছে আবার কখনো হচ্ছে না।
“ব্রেনওয়েভ এনট্রেইনমেন্ট” হল এমন এক প্রযুক্তি যার মাধ্যমে বিশেষ প্রকৃতির শব্দ অথবা আলো অথবা তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ-এর শুধুমাত্র যে কোন একটি অথবা দুটি প্রয়োগ করার মাধ্যমে ব্রেনওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ন্ত্রণ ও পরিবর্তন করে কাঙ্ক্ষিত ফ্রিকোয়েন্সির কোন ব্রেনওয়েভকে সর্বাধিক সক্রিয় (নিয়ন্ত্রণকারী ব্রেনওয়েভ) করা যায়।
এখানে কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয় আছে
এ প্রযুক্তির ব্যবহার করার জন্য –
এ বিশেষ প্রকৃতির শব্দ,আলো ও তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ-এ ৩ টির যে কোন একটি অথবা ক্ষেত্রবিশেষে ২ টির প্রয়োগ একসাথে করতে হবে।
শব্দ, আলো ও তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ প্রয়োগ করার মাধ্যমে ব্রেনওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ন্ত্রণ ও পরিবর্তন করে কাঙ্খিত ফ্রিকোয়েন্সির কোন ব্রেনওয়েভকে সর্বাধিক সক্রিয় করা হয়।
এভাবে কাঙ্খিত ব্রেনওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সির কোন ব্রেনওয়েভকে অন্য ব্রেনওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সির চেয়ে বেশী সক্রিয় করতে পারলে সে ফ্রিকোয়েন্সির সাথে সম্পর্কিত মানসিক অবস্থায় যাওয়া সহজ হয়ে যায়।
দেখা যায় যে, সম ফ্রিকোয়েন্সির দুটি টিউনিং ফর্ক এর মধ্যে একটি টিউনিং ফর্ককে আঘাত করে স্থির হয়ে থাকা আরেকটি টিউনিং ফর্ক এর খুব কাছে নিয়ে গেলে স্থির হয়ে থাকা টিউনিং ফর্কটি কম্পমান টিউনিং ফর্ক এর ফ্রিকোয়েন্সিতে কাপতে থাকে।
এভাবে একটি বস্তু, আরেকটি বস্তু অথবা কোন ছন্দময় শক্তির ফ্রিকোয়েন্সিকে ফলো করে নিজের ফ্রিকোয়েন্সির সাথে সমলয় (Synchronize) করার বিষয়টিই হচ্ছে ফ্রিকোয়েন্সি ফলোয়িং রেসপন্স।
আমাদের ব্রেন এর একটি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হল এই যে –
আমাদের ব্রেনকে যদি ছন্দময় (Rhythmic) আলো, শব্দ অথবা তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ দ্বারা বাইরে থেকে উত্তেজিত করা হয় তাহলে আমাদের ব্রেন সময়ের সাথে সাথে বাইরে থেকে প্রয়োগ করা আলো, শব্দ অথবা তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গের ফ্রিকোয়েন্সির সাথে মিল করে নিজের সক্রিয় (নিয়ন্ত্রণকারী) ব্রেনওয়েভ এর ফ্রিকোয়েন্সির পরিবর্তন ঘটায়।
উদাহরণস্বরুপ, ধরে নেয়া হল আপনি এখন স্বাভাবিকভাবে জাগ্রত অবস্থায় আছেন এবং এ মূহুর্তে আপনার নিয়ন্ত্রণকারী ব্রেনওয়েভ এর ফ্রিকোয়েন্সি ১৮ হার্জ।
আপনি যদি এ অবস্থায় ব্রেনওয়েভ এনট্রেইনমেন্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরী করা এমন কোন শব্দ শোনা শুরু করেন যার ফ্রিকোয়েন্সি ০.৫ – ২.০ হার্জ এর মধ্যে, তাহলে আপনার ব্রেন “ফ্রিকোয়েন্সি ফলোয়িং রেসপন্স” এর কারণে আস্তে আস্তে এর ফ্রিকোয়েন্সিকে ফলো করবে।
এর ফলে সময়ের সাথে আপনার নিয়ন্ত্রণকারী ব্রেনওয়েভ এর ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তিত হয়ে ঘুমের সময়কার অবস্থায় নিয়ন্ত্রণকারী ব্রেনওয়েভের ফ্রিকোয়েন্সি (০.৫ হার্জ – ২.০ হার্জ) এর ভিতর চলে যাবে।
যদি কোন ব্যক্তি কোন উপায়ে তার সক্রিয় ব্রেনওয়েভকে পরিবর্তন করে অন্য ফ্রিকোয়েন্সি সীমার কোন ব্রেনওয়েভকে অধিক পরিমাণে সক্রিয় করে সেটিকে নিয়ন্ত্রণকারী ব্রেনওয়েভ হিসেবে কার্যকর করতে পারে তাহলে তার মানসিক অবস্থা ও ব্রেন এর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণকারী ব্রেনওয়েভ যে ফ্রিকোয়েন্সি সীমার অন্তর্ভূক্ত সে ফ্রিকোয়েন্সি সীমার সাথে সম্পর্কিত মানসিক অবস্থা ও ব্রেন এর কার্যক্রমে পরিবর্তিত হয়ে যাবে।
উদাহরণস্বরুপ, মনে করুন এ মুহূর্তে আপনার ব্রেন –এ যে ব্রেনওয়েভগুলো আছে তার মধ্যে সক্রিয় (নিয়ন্ত্রণকারী ) ব্রেনওয়েভ এর ফ্রিকোয়েন্সি হচ্ছে ১৭ হার্জ। সেই হিসেবে এই ফ্রিকোয়েন্সির ব্রেনওয়েভ এর সাথে সম্পর্কিত মানসিক অবস্থার কারণে আপনি সম্পূর্ণ জেগে আছেন এবং মনোযোগের সাথে হয়তোবা এই লেখাটি পড়ছেন।
এখন মনে করেন, যে কোন উপায়ে আপনার এই নিয়ন্ত্রণকারী ব্রেনওয়েভকে আপনি পরিবর্তন করে ২.০ হার্জ করতে পেরেছেন।
এক্ষেত্রে আপনার মানসিক অবস্থা এবং ব্রেন এর কার্যক্রম এই ব্রেনওয়েভের সাথে সম্পর্কিত মানসিক অবস্থা এবং ব্রেন এর কার্যক্রমে পরিবর্তিত হয়ে যাবে। যেহেতু, ২.০ হার্জ ফ্রিকোয়েন্সির ব্রেনওয়েভ ঘুমের সাথে সম্পর্কিত তাই অস্বাভাবিকভাবে ব্যতিক্রম কিছু না ঘটলে আপনি আপনার ব্রেনওয়েভের ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তন করার কারণে ঘুমিয়ে যাবেন।
আর যদি কোন কারণে আপনি ঘুমিয়ে না যান তাহলে গভীর ঘুমের সময় আপনার ব্রেন যে বিশ্রাম পায় সে বিশ্রামটি এই সময় পাবে।
এভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে পরিবর্তিত ফ্রিকোয়েন্সির সাথে সম্পর্কিত মানসিক অবস্থা বা ব্রেন অ্যাক্টিভিটিকে সক্রিয় করা যায়। এ কারণে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কাঙ্খিত ফ্রিকোয়েন্সির ব্রেনওয়েভকে সর্বাধিক সক্রিয় করার মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী মানসিক অবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব।
এভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃতভাবে কাঙ্খিত ফ্রিকোয়েন্সির ব্রেনওয়েভকে সর্বাধিক সক্রিয় করার মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী মানসিক অবস্থার পরিবর্তন করতে পারি এবং কাঙ্ক্ষিত ব্রেন অ্যাক্টিভিটিকে সক্রিয় করতে পারি।
আরেকটি উদাহরণ এক্ষেত্রে দেয়া যেতে পারে।
উদাহরণস্বরুপ মনে করুন, আপনি কোন বিষয় নিয়ে খুব চিন্তিত আছেন এবং প্রচন্ড রকমের মানসিক উত্তেজনায় ভুগছেন। আপনি বুঝতে পারছেন যে আপনার মানসিক চাপ কমানো দরকার কিন্তু আপনি কোনভাবেই নিজেকে শান্ত করতে পারছেন না। এরকম একটি অবস্থায় আপনার সর্বাধিক সক্রিয় ব্রেনওয়েভ এর ফ্রিকোয়েন্সি স্বাভাবিক ভাবেই বিটা শ্রেণীর ব্রেনওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ এর মধ্যে আছে এবং নিশ্চিত ভাবেই তা ১৮ হার্জ এর অনেক উপরে আছে।
এ ধরণের একটি জটিল পরিস্থিতিতে ব্রেনওয়েভ এনট্রেইনমেন্ট আপনাকে একজন বন্ধুর মত সাহায্য করতে পারে।
প্রশ্ন হল, কিভাবে?
পুরো ব্যপারটি আসলে খুব সহজ।
৮ – ১২ হার্জ সীমার ভিতরে অবস্থিত কোন ফ্রিকোয়েন্সির ব্রেনওয়েভ যখন সর্বাধিক সক্রিয় থাকে তখন আমরা মানসিকভাবে শিথিল (Mentally Relaxed) থাকি।
এবার খুব মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করুন।
আপনি মানসিকভাবে খুব উত্তেজিত থাকা অবস্থায় (ব্রেনওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি ১৮ হার্জ বা তার ঊর্ধ্বে) যদি ব্রেনওয়েভ এনট্রেইনমেন্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনার নিয়ন্ত্রণকারী ব্রেনওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সিকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিবর্তন করে ৮ – ১২ হার্জ –এর মধ্যে নিয়ে আসা যায় তাহলে নিশ্চিতভাবেই আপনার মানসিক উত্তেজনা কমে আসবে এবং আপনার মানসিক চাপ অনেকাংশে অথবা পুরোটাই কমে যাবে এবং আপনি Mentally Relaxed হয়ে যাবেন।
ঠিক একই উপায়ে এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করে আমরা আমাদের বেশ কিছু ধরণের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন এবং নিয়ন্ত্রণ নিতে পারি।
এবার, আরেকটি ছোট উদাহরণ দেই।
আপনি সারাদিন অনেক পরিশ্রম করেছেন। আপনার খুব ভাল মতন একটা ঘুম দরকার। কিন্তু আপনি শোবার পর থেকেই বিভিন্ন ধরণের চিন্তায় আপনার ঘুমই আসছেনা। অনেক চেষ্টা করছেন। কিন্তু ঘুম আসছেনা। এরকম একটা পরিস্থিতিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যদি আপনি আপনার নিয়ন্ত্রণকারী ব্রেনওয়েভকে আস্তে আস্তে কমিয়ে পরিবর্তন করে ০.৫ – ৪.০ হার্জের মধ্যে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে আপনি ঘুমিয়ে যাবেন।
অবশ্য শারীরিক কোন সমস্যার কারণে যদি আপনি ঘুমাতে না পারেন তাহলে সেক্ষেত্রে যতটুকু সময় আপনার ব্রেন এর ফ্রিকোয়েন্সি ০.৫ – ৪.০ হার্জের মধ্যে থাকবে ততটুকু সময় আপনার ব্রেন এর এমন একটি বিশ্রাম হবে যা কিনা গভীর ঘুমের সময় হয়।
ব্রেনওয়েভ এনট্রেইনমেন্ট প্রযুক্তি দিয়ে এভাবেই আমাদের ব্রেন এর কাজ ও মনের অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আশা করি এই পেজটি পড়ে মনকায়ার মিউজিকগুলো কিভাবে কাজ করে সে বিষয়ে আপনি একটা ভাল ধারণা পেয়েছেন।